ঝাড়গ্রাম: তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর আজ প্রথমবার ঝাড়গ্রাম সফরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে কপ্টারে রওনা দেন তিনি। যাওয়ার সময় আকাশপথে পরিদর্শন করেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের প্লাবিত এলাকা। ঝাড়গ্রামে পৌঁছে বিশ্ব আদিবাসী উৎসবে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আদিবাসীদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলান, বাজান ধামসাও। বীরসা মুণ্ডার ছবিতে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ রাত্রে তিনি থাকবেন ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে। আগামীকাল ঘাটালে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন ঝাড়গ্রামের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঝাড়গ্রাম জেলায় ৯৫ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন পরিষেবা পেয়েছেন। ঝাড়গ্রামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছি। ঝাড়গ্রামে স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। ৩ কোটি মানুষ দুয়ারে সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন, বেশিরভাগই পরিষেবা পেয়েছেন। ঝাড়গ্রামে চারটি নতুন কলেজ তৈরি হচ্ছে। সাধুরাম চাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হচ্ছে। আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না, এই আইন তৈরি করেছে সরকার। সারা দেশেও এই আইন প্রণয়ন করা হোক। আদিবাসীদের জন্য আলাদা দফতর তৈরি করেছি। অলচিকি হরফে পড়ানোর জন্য ৫০০ টি স্কুল তৈরি হচ্ছে। লালগড় কলেজে সাঁওতালি ভাষায় পাস ও অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। মাওবাদী হানায় মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিয়েছি। দুয়ারে সরকার আমরা বছরে দু’বার করব। দু-এক মাসেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হয়ে যাবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধে মিলবে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে। করোনা এখনও যায়নি, বাইরে বেরোলেই মাস্ক ব্যবহার করুন। ঝাড়গ্রাম আসার পথে বাগনান ও উদয়নারায়ণপুরের পরিস্থিতি দেখলাম। ভুল হলে শুধরে নেব, আপনারা কেউ ভুল বুঝবেন না।’
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

Sundar
উত্তরমুছুন